By Karpet Knight on February 28, 2025
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় Tipstry. বাসি আপনারা কেমন আছেন । আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে সকলে ভালো আছেন। রমজানের আর একটি মাত্র দিন বাকি সকলকে রমজানের প্রত্যেকটি দিন আমল করার তৌফিক দান করুক। সৌদি আরবে প্রতিবছরে আমাদের ১দিন আগে পবিত্র রোজা শুরু হয় ঠিক একদিন পরেই আমাদের রোজা শুরু হয় তবে বাংলাদেশের কিছু কিছু স্থানে তাদের নিয়ম করেই রোজা রাখা হয়। বেশিরভাগ অঞ্চলেই ২রা এপ্রিল, ২০২৫ পবিত্র মাহে রমজান হবে । এ মাস ফজিলতের মাস। এ মাস গুনাহ মাফের মাস। আল্লাহ তায়ালার কাছে নিবিড়ভাবে গুনাহ থেকে বিরত থাকার তৌফিক চাইবার মাস এটি।
রমজানের ইতিহাসঃ
৬২২ খ্রিস্টাব্দে হিজরত হয়, প্রায় তার দেড় বছর পর স্বয়ং আল্লাহ তাআলা রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তোমারদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে- যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)
রোজা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের এক অন্যতম পন্থা। সিয়াম সাধনাই পারে কোন গোনাহগার ব্যাক্তিকে আল্লাহর আরশের নিচে ঠাই দিতে ।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০১; তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৩)
রোজার নিয়ত কী ও কীভাবে রাখতে হয়
নিয়ত করা হল কোন কাজের অর্ধেক শেষ হবার শামিল। রমজানে রোজা রাখার জন্যেও নিয়ত করাটা জরুরি। রোজা পালনে সাহরি ও ইফতার যেমন গুরুত্বপূর্ণ।তার পাশাপাশি রোজার নিয়তও জরুরি। তবে এই ক্ষেত্রে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে ওঠা ও সাহরি খাওয়াটাই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত।
বস্তুত মনের ইচ্ছাই হলো- নিয়ত। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। তাই কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার রোজাগুলো আদায় হয়ে যাবে। (সূত্র : আল-বাহরুর রায়েক : ২/৪৫২; আল-জাওহারুতুন নাইয়্যিরাহ : ১/১৭৬; রাদ্দুল মুহতার : ৩/৩৩৯, ৩৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৫)
রোজার যে নিয়ত প্রচলিত
রোজার নিয়ত নিয়ে অনেকের অনেক মত থাকতে পারে তবে বাংলাদেশে রোজার একটি আরবি নিয়ত প্রসিদ্ধ— যেটা মানুষ মুখে পড়ে থাকেন। তবে এটি হাদিস ও ফিকাহের কোনো কিতাবে বর্ণিত হয়নি। তবে কেউ চাইলে পড়তে পারেন। (তবে জেনে রাখা উচিত যে, নিয়ত পড়ার চেয়ে নিয়ত করা গুরুত্বপূর্ণ।)
আরবি নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের দোয়া
بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
ইফতারের পরের দোয়া
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা.) যখন ইফতার করতেন, তখন বলতেন-
ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ
বাংলা উচ্চারণ : জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতাল্লাতিল
উ’রুকু; ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ।
অর্থ : ‘(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৭)
ইফতারের ফজিলত
রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মুমিন যেমন সারাদিন পর ইফতার করবার সুযোগ পায় পরকালে সে লাভ করবে মহান আল্লাহ তায়ালার দিদার । আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। একটি আনন্দ হচ্ছে যখন সে ইফতার করে। আরেকটি হচ্ছে যখন সে প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬৬)
সকলে ভাল থাকবেন।আসন্ন রমজানে আল্লাহ আমাদের সকলকে নিজের মুমিন বান্দা হিসেবে কবুল করুন। (আমিন)। সকলের রোজা ভাল কাটুক,সকলে গুনাহ হতে মুক্তি পাক। আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ....
Views: 42
Recent Comments
No comments yet. Be the first to share your thoughts!